২১ নভেম্বর ২০২৫, ০১:৫১ পূর্বাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় বরগুনার শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রবিউল হত্যা মামলায় নিরপরাধদের জড়ানোর অভিযোগে বাবুগঞ্জে বিএনপি’র একাংশের সংবাদ সম্মেলন বাবুগঞ্জের ছাত্রদল নেতার খুনিদের গ্রেপ্তার পরবর্তী দৃষ্টান্ত ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ চুয়াডাঙ্গায় ৩ তক্ষকসহ গ্রেফতার ১জন বাবুগঞ্জ এলজিইডি’র এলসিএস কমিউনিটি অর্গানাইজার সানজিদার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও হয়রানির অভিযোগ জোটের চাপ নাকি অভ্যন্তরীণ কোন্দল? বরিশাল -৩ আসনে এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপি। ভোটারদের মাঝে ‘ভিআইপি চমক’-এর গুঞ্জন বাবুগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস এর ৫০ বছর পূর্তীতে ঝালকাঠি জেলা জাসাসের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বাংলাবান্ধায় ভারসাম্যহীন নারী গণধর্ষণেন শিকার চার ধর্ষক আটক বাবুগঞ্জে ছাত্রদল নেতা হত্যাকাণ্ড: ২১ জনের নামে মামলা!
বানারীপাড়ার অদম্য হৃদয় মাস্টার্সে পড়ার খরচ যোগান ফুটপাতে সব্জি বিক্রি করে

বানারীপাড়ার অদম্য হৃদয় মাস্টার্সে পড়ার খরচ যোগান ফুটপাতে সব্জি বিক্রি করে

রাহাদ সুমন,বিশেষ প্রতিনিধি॥
বরিশালের বানারীপাড়ার জীবন সংগ্রামী এক অদম্য যুবক হৃদয় বেপারী। গরীবের জীর্ণ কুটিরে হৃদয় যেন এক চাঁদের আলো। মাস্টার্সে অধ্যয়নরত হৃদয় চাকরি নামের সোনার হরিণের পিছনে ছুটে ক্লান্ত হয়ে অবশেষে বেছে নিয়েছেন সব্জি বিক্রির কাজ। বানারীপাড়া পৌর শহরের বন্দর বাজারের রাস্তার ওপর ফুটপাতে প্রতিদিন শাকসব্জি বিক্রি করে তিনি তার নিজের মাস্টার্সে পড়ার খরচ ও সংসারে সহযোগিতা করছেন। মেধাবী হৃদয় বানারীপাড়ার চাখার সরকারি ফজলুল হক কলেজ থেকে ব্যবস্থাপনায় অনার্স শেষ করে চাকরির জন্য অনেক ঘুরেও চাকরি নামক সোনার হরিণের সন্ধ্যান পাননি। তাই লেখাপড়াসহ জীবিকার তাগিদে তিনি সব্জি বিক্রি করছেন। বর্তমানে হৃদয় বরিশাল বিএম কলেজে একই বিষয়ে মাস্টার্সে অধ্যয়নরত। বানারীপাড়া বন্দর বাজারে গিয়ে দেখা যায়,হৃদয়ের সব্জির দোকানে সর্বসাকুল্যে ৭/৮ শত টাকার মালামাল রয়েছে। এটা বিক্রি করেই লভাংশ দিয়ে তিনি তার লেখাপড়ার খরচ ও সংসারে সহযোগিতা করছেন বলে জানান। তার দরিদ্র পিতা দেলোয়ার হোসেন বেপারীও একই বাজারের সব্জি (তরকারি) বিক্রেতা। তাদের বাড়ি বানারীপাড়া সদর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড জম্বুদ্বীপ গ্রামে। পিতা-পূত্রের এ সব্জি ব্যবসায় যে সামান্য লাভ হয় তা দিয়ে ৫ জনের সংসারের ভরন-পোষণ খরচ,হাফেজি পড়–য়া ছোট ভাই তানভীর হোসাইন ও হৃদয়ের লেখাপড়ার খরচ মিটিয়ে সংসারে নুন আনতে পানতা ফুরায় অবস্থা তাদের । দারিদ্রতা যেন তাদের নিত্য সঙ্গী। তবুও অদম্য হৃদয়।
এ প্রসঙ্গে হৃদয় বেপারী বলেন,সৎভাবে কোন কাজই ছোট নয়। সব্জি বিক্রির এ কাজ করেই বাবা আমাকে অর্নাস পাশ করিয়েছেন। স্বপ্ন ছিল চাকরি করে সংসারে সুখ-স্বচ্ছলতা আনবো,দরিদ্র বাবা-মায়ের মুখে হাসি ফোটাবো। টাকা কিংবা মামার জোর না থাকলে চাকরি পাওয়া দুঃসাধ্য । তাই চাকরির আশা ছেড়ে দিয়ে পিতার ব্যবসাকেই পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছি। ###

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019